মরিচিকার শিশির
- রাকিব ইমতিয়াজ - সোনালি মেঘ ০৩-০৫-২০২৪

আমি বারংবার ফিরে এসেছি
তুমি ফিরে চাওনি
আমি নিশ্বদ্ধ হয়েছি, শুধু ভেবেছি
সময় হয়তো উলঠো হাওয়ায় তাল মিলিয়ে চলছে।
জোনাকিরা আজও মিটি মিটি জ্বলছে।
আজও তারা রাতের অপেক্ষায় বসে থাকে
অধির হয়ে থাকে
কখন জ্বলতে শুরু করবে।
আজও চাতক পাখিরা
বৃষ্টির অপেক্ষায় চেয়ে থাকে
দূরের ওই পাহাড়ের গাঁ ঘেসে তখন সূর্যটা নেমে যায়।
তখন হয়তো তুমি উপলব্ধি কর
তুমি ভাবো
বারংবার ভাবো
কখনও রঙিন হও
কখনও স্বপ্নীল হও
আবার কখনও সাদা-কালোর জগতে গিয়ে অনুসূচনা করো।
ট্রয় নগরীর প্রত্যেক বাঁকে বাঁকেই ছিলো
নারীর উপস্থিতি।
তুমি আজও আঁতকে উঠো
ট্রয় নগরীর সেই বিদ্ধশ্ততার কাহিনী পড়ে।
আমি ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মত
শুধু চেয়েই থাকি।
নগরীর একস্থান থেকে অন্যস্থান,
দেয়ালের পর দেয়াল,
বাসটপ, কপিহাউজ
আমি শুধু দেখেই যাই
দেখা কখনো শেষ হয় না।
মতিঝিলের অলিতে গলিতে
আজও তোমার গন্ধ পাই,
সুদূর কোনো সাগর পাড়ে গেলে
তোমার পায়ের চাপ দেখতে পাই।
তুমি আজন্ম ইতিহাস
আজন্ম এক সভ্যতা,
মরিচিকার মত শিশির বিন্দু।
আজও কাঁঠের গুন পোকারা
মাটির স্পর্শ পেতে চায়।
আকাশের বুক ছিড়ে জল পড়তেই
তুমি শিহরিত হও
আজও আয়নার পিছনের দিক দেখেই সন্তুষ্ট থাকি।
হয়তো এভাবেই কালজয়ী জীবনের
একটা অধ্যায় শেষ হবে।
সে জিবন তখন,
পোঁকাদের খাদ্যের অভাব পূরন করবে
কচুরীপানার ফুলগুলো শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।
আমি চূর্ণ, বিচূর্ণ থেকে শূণ্যের কোটায় নেমে এসেছি।
আর ভাবতে হবে না,
ভেবে শিহরিত হতে হবে না।
কারণ শালিক পাখিটা এখন
অন্য কোন গাছের একটা ডালের মালিক।
সেই কুঁজো হওয়া
বৃদ্ধটাও আজ মরে গেছে,
যে ছিলো তোমার প্রতিদিনকার গল্প শোনার সাথী।
কবিতা শুনতে ভালো লাগে,
শরৎবাবুর কবিতা
বাবুর সেই কালজয়ী ছবিটা
এখন আর ওয়ালেটে রাখা হয় না।
কারণ, এখন বলার মত কেউ নেই
শরৎবাবুর কবিতা পড়ার মত কেউ নেই।
দিগন্তের শেষের দিকে
যখন একটু বাতাস বয়,
সত্যি ভালোই লাগে
মনে হয়,
বালির কনা গুলো ধেয়ে আসছে।
আমি আবার নির্বাক হই
চলে যাই আপন ঘরের অচিন ঠিকানায়।
ভূলে যাই সেই শব্দ গুলো
ফেলে দেই সেই নীল রঙের শার্ট টা।
নির্বাক থেকে চির নির্বাক,
অসীম শক্তিময় এক নির্বাক.....…....(~_~)

মন্তব্য যোগ করুন

কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।

মন্তব্যসমূহ

এখানে এপর্যন্ত 1টি মন্তব্য এসেছে।

rakibimtiaj
২৪-০২-২০২০ ০৬:৪৯ মিঃ

অসাধারণ